বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার(১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মহাসচিব বলেন, সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ আজ বেগম জিয়ার জামিনের আদেশ দুই মাস স্থগিত করেছেন। এই আদেশ সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজেই বলেছেন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির অভিযোগে সাজা দেয়া হয়নি। বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য এ সাজা। এই মামলায় জামিন পাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি তার আইনগত অধিকার। কিন্তু হচ্ছে না। কারণ সরকার মাস্টারপ্ল্যান করে রেখেছে। আর এই মাস্টাপ্ল্যানের বাইরে দেশে সাংবিধানিক কোন প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে যেভাবে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছিল। সেদিন থেকেই আমরা বলছিলাম বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষ হয়ে গেছে। আজকের রায় সেটাই প্রমাণ করলো। এ রায়ে প্রমাণিত হলো বেগম জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সরকার বিচার বিভাগকে কৌশলে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো হয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচি: খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার প্রতিবাদে ২০ মার্চ (মঙ্গলবার) জেলা, মহানগর এবং ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ। ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ। পূর্বঘোষিত জনসভা ছিলো আজ (সোমবার)। কিন্তু অনুমতি মেলেনি।
আজকের সমাবেশের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি নিজে বারবার ফোন করেছি, তারা (ডিএমপি) ফোন ধরেনি। আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখাও করেনি। তারা আমাদেরকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু আমরা সেদিকে যেতে চাই না। আমরা ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা করবো। সরকারকে বলবো আমাদের জনসভা করার অনুমতি দিন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।