এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হয়েছে কয়েকদিন হলো। এরই মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনেক শিক্ষার্থী প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকে পুঁজি করে চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে দেশের কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সতর্ক থাকার পরার্মশ দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী যাতে ফাঁদে না পড়ে অননুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস বা কোর্সে ভর্তি না হয় এজন্যই সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা জেনেশুনে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়াও হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হলেও ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম এখনো শুরু করেনি। এগুলো হল ঢাকার কেরানীগঞ্জে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জে রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীতে শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনায় খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালে ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি রয়েছে।
যে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসির:
১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি। যা আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ক্যাম্পাস পরিচালনা করে যাচ্ছে।
২. আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমোদন থাকলেও ইউজিসি মতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো সুযোগ সুবিধা নেই।
৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা । ২০০৬ সালে বন্ধ ঘোষণা করে সরকার করার পর আদালতে ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়।
৪. সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। মেহেদীবাগ ও শহীদ মির্জা লেনের দুই ক্যাম্পাস ছাড়া সব ক্যাম্পাস অবৈধ।
আবার এগুলোর মধ্যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এগুলো হচ্ছে:
৫. ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং। ৬. আবদুল্লাহপুরে দি পিপলস্ ইউনিভার্সিটি । ৭ বনানীর সি ব্লকে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া।
৮.বোর্ড অব ট্রাস্টি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে,কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
৯ চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি।
১০.সিলেট ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়।
১১.কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য পরিচালনার অনুমতি দিলেও নির্ধারিত সময়ে সেটি তারা শুরু পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকার কর্তৃক বন্ধ রয়েছে।
১২. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আউটার বা শাখা ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।
তবে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত যে, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬টিতে উপাচার্য, ২০টিতে উপ-উপাচার্য ও ৪১টিতে কোষাধ্যক্ষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের অর্জিত সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য। উপাচার্যের স্বাক্ষর না থাকলে সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে না। বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।