
চা ও দই
এই দুই প্রকার খাবারেই অ্যাসিড আছে। একসঙ্গে বা সামান্য ব্যবধানে দিয়ে পর পর এই ধরনের খাবার খাওয়া মানে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এতে শরীরে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। অ্যাসিডিটির অসুখ আগে থেকে থাকলে তো আরো সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
মাংস ও দুধ
মাংসে প্রচুর প্রোটিন থাকে। এ দিকে দুধও সুষম আহার। তাই এই দুই খাবার পর পর খেলে শরীরে হঠাৎ করেই প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। একাধিক পুষ্টি উপাদানের মধ্যে বিশেষ কোনো ধরনের উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি শরীরের জন্য ভাল নয়।
তরমুজ ও পানি
এমনিতেই ফলের পর পানি খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তরমুজ এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পানি থাকে। তাই তরমুজের পরে পানি খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড, হজম সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিক থাকলে পানির এই মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি শরীরের বেশি ক্ষতি করে।
ঠাণ্ডা পানীয় ও পুদিনা
শরীরের ভিতর এই দুইটি খাবার তীব্র রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এতে হজমে সমস্যার সাথে সায়ানাইডও উৎপন্ন হতে পারে। ফলে এই দুই খাবার একেবারেই একসঙ্গে খাবেন না।
দুধ ও লেবু
দুধ ও লেবু যোগ করলে পেটের ভিতরেও দুধ কেটে যায়। অনেকে ভাবেন পেটে লেবুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসিড থাকে। কিন্তু শরীরের মধ্যে থাকা সে সব অ্যাসিড পরিপাকক্রিয়ায় অংশ নিতে থাকে। তাই বাইরে থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড যোগ হলে এই পদ্ধতি বাধাপ্রাপ্ত হয়।
দুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক
কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক আছে যা শরীরে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজের শোষণকে প্রতিরোধ করে। তাই অ্যান্টবায়োটিক চলাকালীন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন ওই ওষুধ চলাকালীন দুধ খাওয়ায় বিধিনিষেধ আছে কি না।